রাজু বিশ্বাস দুর্জয় (গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি)
সিলেটের ১৩ টি স্থলবন্দরের মধ্যে অন্যতম সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর। এ স্থলবন্দর দিয়ে কয়লা ও চুনাপাথরসহ আমদানি হয় কাচামাল।রপ্তানি করা হয় আর,এফ,এল ফার্নিচারসহ বিভিন্ন প্রকার প্রসাধনী সামগ্রী। প্রতিদিন প্রায় অর্ধ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয় এই বন্দর থেকে।
বছর খানেক আগে থেকে আমদানি শুরু হয় মিথানল নামক কেমিক্যাল যা এক ধরনের দাহ্য তরল।ঠিক তখনি প্রশ্ন ওঠে স্থলবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে।একটি চ্যাটেলাইট চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে তখনকার সহকারী পরিচালক পার্থ ঘোষ জানান প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আমদানি হচ্ছে মিথানল যা একেবারে মিথ্যে ও বানোয়াট প্রমানিত হল আজকে।
আজ ৯ নভেম্বর দুপুর দের ঘটিকায় ভারতীয় কেমিক্যালবাহী এক লড়িতে শর্ট সার্কিট সংক্রান্ত সমস্যায় আগুন ধরে যায়,এতে তৎক্ষনাৎ কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় কয়েক হাজার শ্রমিক, শতশত গাড়ী ও জানমাল নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে যায়।পালিয়ে যান স্থলবন্দরের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলে এবং মাইকে ঘোষণা দেন সবাইকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে।
এমতাবস্থায় বন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় তৎক্ষনাৎ ভারতের ডাউকি স্থলবন্দরের ফায়ার ব্রিগেড এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।অবশেষে বাংলাদেশের জৈন্তাপুর ফায়ার সার্ভিসের স্কোয়াড আসলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল।
স্থানীয় সুত্রে যানা যায় শুধু ফায়ার ব্রিগেড নয় স্থলবন্দরে শ্রমিকদের নিরাপত্তায় নেই কোন মেডিকেল, এম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন।
তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আমিনুল হক -কে জানান, সামুদা ক্যামিকেল লিমিটেড মিথানল আমদানি করেছিল। প্রতিটি ট্যাংকলরীতে ২৮-৩০ টন মিথানল ছিল।
Leave a Reply