সর্বশেষ :
নেসার্স ট্রাস্ট ও এশিয়ান ইউকে টিভি‘র ১৯ তম প্রজেক্ট ওসমানীনগরে গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে পাকা ঘর এইচপিভি টিকাদান কর্মসুচী শতভাগ বাস্তবায়ন করায় কুলাউড়ার ৩ প্রতিষ্টানকে সম্মাননা প্রদান ছুটিতে গিয়ে গোয়াইনঘাট থানার এসআই মিথুন পাড়ি জমালেন লন্ডনে! বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে বিশ্বনাথে প্রশাসনের সভা জগন্নাথপুরে পুলিশি অভিযানে ৭ আসামী গ্রেফতার আদালতপাড়ায় সাবেক কাউন্সিলর লায়েককে লাথি-ঘুষি বালাগঞ্জে আমন ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি কমলগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় গণপিটুনিতে নিহত ১ শপথের সম্মান রক্ষার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি: সিইসি শেখ হাসিনা দেশে থাকলে লোকজন তাঁকে ছিড়ে খুড়ে ফেলত: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
বিডিআর বিদ্রোহ হত্যা মামলায় পুনঃতদন্ত কমিশন কেন নয় : হাইকোর্টের রুল

বিডিআর বিদ্রোহ হত্যা মামলায় পুনঃতদন্ত কমিশন কেন নয় : হাইকোর্টের রুল

একুশে সিলেট ডেস্ক
ঢাকার পিলখানায় ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের সময় হত্যাকাণ্ডের মামলায় পুনঃতদন্ত কমিশন কেন নয় তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। আদালত একইসঙ্গে পিলখানা হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (৪ নভেম্বর) বিডিআর বিদ্রোহের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত কার্যক্রম নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত হবে এবং অবশ্যই হতে হবে। দ্রুতই তদন্ত টিম করা হবে। যেহেতু অন্যান্য অনেকগুলো হচ্ছে, এটাও হয়ে যাবে।

এ ছাড়া গত রোববার (৩ নভেম্বর) পিলখানা হত্যার নেপথ্যের কারণ উদঘাটনে পুনঃতদন্ত কমিশন হয়েছে কি না তা রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
বিডিআর বিদ্রোহ হত্যা মামলায় পুনঃতদন্ত কমিশন কেন নয় : হাইকোর্টের রুল
বিডিআর বিদ্রোহ নয়, হত্যাকাণ্ড : হাসনাত

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদরদপ্তরের সংঘটিত বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।

এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুইটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে মুক্তি আটকে আছে ৪৬৮ বিডিআর সদস্যের।

হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ৮৫০ জনের বিচার কাজ শেষ হয়েছে। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে এবং বিভিন্ন মেয়াদে ২২৮ জনকে সাজা প্রদান করা হয়। এছাড়া ২৮৩ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

হাই কোর্টের রায়ের পূর্বে ১৫ জনসহ মোট ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন। অন্যদিকে হাই কোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়।

অন্যদিকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ২০১০ সালে ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম এক প্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ফলে এ মামলার বিচার ঝুলে যায়। তবে শাসন ক্ষমতার পরিবর্তনে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.




© All rights reserved ©ekusheysylhet.com
Design BY DHAKA-HOST-BD
weeefff