নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটে পুলিশের পৃথক অভিযানে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা, একজন পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও ৪ জন মাদক কারবারি।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে বুধবার (৩০ অক্টোবর) ভোর পর্যন্ত সিলেটের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া শাখা জানায়, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিনকে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তেতলী বাইপাস এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হামলা ও সহিংসতা ঘটানোর একাধিক মামলা এবং হত্যা মামলাও রয়েছে।
এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের অভিযানে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এয়ারপোর্ট থানার জাহাঙ্গীরনগর গ্রাম থেকে আজিজুল হক সেলিম (৬০) নামের ওই কারবারিকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি এ গ্রামের মৃত আব্দুল খালিকের ছেলে।
একই থানা পুলিশের পৃথক টিম মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে দিলদার হোসেন (২৪) নামের এক পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে। তিনি এয়াপোর্ট থানার লিলাপাড়া গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে।
এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ভারতীয় রেডবুল নামক কোমল পানীয়ের ২০০টি ক্যানসহ আব্দুল কাদির (২৪) নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে এয়ারপোর্ট থানাধীন কেওয়াছড়া চা বাগানের গেইটের সামনে কোম্পানীগঞ্জ থেকে সিলেটের দিকে আসা একটি বাস আটকে এতে তল্লাশি করে এসব অবৈধ পানীয়সহ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কাদির সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার লাচুখাল গ্রামের মো. সঈদ মিয়ার ছেলে।
এদিকে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মো দিলু মিয়া (৩৪) নামের একজনকে জেল রোড এলাকা থেকে ৮১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করেছে। তিনি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেপাশা ইউনিয়নের দেওয়ারাই (আছিরগঞ্জ) গ্রামের বলু মিয়ার ছেলে।
অপরদিকে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জালালাবাদ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কালিগাঁও এলাকা থেকে ২৪ বোতল ভারতীয় মদসহ ১টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা (রেজি. নং-সিলেট-থ-১২-৫৯৩৬) জব্দ করে। এসময় দুজন পালিয়ে যায়। তবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কোতোয়ালি থানাধীন নেহারিপাড়া থেকে মো. জুয়েল মিয়া (১৯) নামে একজনকে গ্রেফতার করে। তিনি হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার কুর্শা খাগাউড়া গ্রামের মো. সুজন আলীর ছেলে।
গ্রেফতারকৃত সবাইকে পরে আদালতের নির্দেশে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
Leave a Reply