এম,এ আহমদ আজাদ, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জ উপজেলার গোলকান্দাইল ইউনিয়নের দোহরগাঁও এলাকায় একটি বাড়িতে আগুন লেগে বাবুল মিয়ার পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন।এদের সবার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর গ্রামে। গত ২৫ অক্টোবর এ ঘটনা সংঘটিত হয়। এই ঘটনায় গতকাল ২৯ অক্টোবর ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আইসিইউতে থাকা অবস্থায় হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের দুই সহোদরের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকালে ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আইসিইউতে থাকা অবস্থায় তারা মারা যান। ময়নাতদন্ত শেষে তাদের মরদেহ নবীগঞ্জ উপজেলার সূজাপুর তাদের নিজ বাড়িতে আনা হবে বলে জানা গেছে।
মৃতরা হলেন: নবীগঞ্জ উপজেলার ৯ নম্বর বাউসা ইউনিয়নের সূজাপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে সোহেল (২০) ও তার ছোট ভাই ইসমাইল (১১)।
এর আগে গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জ উপজেলার গোলকান্দাইল ইউনিয়নের দোহরগাঁও এলাকায় একটি বাড়িতে আগুন লেগে বাবুল মিয়ার পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন।
বাকি দগ্ধরা হলেন: বাবুল মিয়া (৪৫) ও তার স্ত্রী শেলি (৩৫) এবং মুন্নি (১৮) ও তাসলিমা (৯)। ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাদের চিকিৎসা চলছে।
জানা গেছে, রাতে নিজ রুমে মশার কয়েল ধরানোর সময় লিকেজ থেকে রুমের মধ্যে জমে থাকা গ্যাসে আগুন ধরে যায়। এতে তারা সবাই দগ্ধ হন।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম জানান, বাবুলের শরীরের ৬৬ শতাংশ, সেলির ৩০, সোহেলের ৭০, মুন্নির ২০, ইসমাইলের ৫৫ ও তাসলিমার ৬৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে, রূপগঞ্জের ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, পরিবারটি ডহরগাঁও এলাকার একটি টিনশেড বাড়িতে থাকত। রাতে মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে সেটি থেকেই আগুন লাগে।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, অগ্নি কান্ডের ঘটনায় দুই জনের মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। লাশ এখনও তাদের গ্রামের বাড়িতে আসেনি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, রূপগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ ছয়জন দগ্ধ হয়েছে। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আনা হয়। সেখানেই দুই জনের চিকিৎসা আজকে মারা গেছে।
Leave a Reply